রসুনের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং রসুন খাওয়ার নিয়ম

রসুনের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে আমরা অনেকে আগ্রহী থাকি। আমরা জানি প্রকৃতিতে আছে ঔষধের ভান্ডার। এই প্রকৃতির কাচা রসুন খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে অত্যাধিক।

পরিবারের বয়স্কোদের নিকট থেকে আমরা শুনে থাকি খালি পেটে রসুন খাওয়ার অনেক ভাল বা সকালে খালি পেটে কাচা রসুন খাওয়া দারুন উপকার রয়েছে। কারন হিসেবে খুব বেশি তারা বলতে না পারলেও পরিবারের বয়স্কো ব্যক্তিগণ আমাদের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এমনকি রসুন দিবস পালিত হয়ে থাকে ১৯ এপ্রিল বিশ্বজুড়ে।

রসুন সাধারনত আমাদের বাড়িতে রান্নার একটি বিশেষ মসলা হিসেবে তরকারিতে ব্যবহার করা হয়। রান্নায় তরকারিতে রসুন ব্যবহারে তরকারিতে দারুন স্বাদ আমরা বুঝতে পারি। তবে আমরা যদি প্রতিদিন সকালে এক কোয়া কাঁচা রসুন খাওয়ার অভ্যাস করতে পারি তাহলে আমাদের শরীর অনেক বেশি পুষ্টি ও ঔষধি উপকার পেতে পারি।

রান্নায় সাধারনত রসুন তরকারিতে স্বাদ বাড়াতে ব্যবহার করা হয়। এখানে উদ্দেশ্য থাকে না রসুন থেকে উপকার পাওয়ার। তাছাড়া রান্না কৃত রসুন থেকে কাঁচা রসুন খাওয়ার অত্যাধিক উপকার রয়েছে। তাই আপনি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে রসুন খাওয়ার অভ্যাসে আপনি পেতে পারেন অনেক পুষ্টিগুণ যা আমাদের শরীরকে অনেক রোগব্যাধি থেকে রক্ষা করতে পারে।

Table of Contents

কাঁচা রসুনের পুষ্টিগুণ

এখানে প্রতি ১০০ গ্রাম কাঁচা রসুনে কি পরিমান পুষ্টি আছে তা নিচে উল্লেখ করা হল

ক্যালোরি৬২৩
শর্করা৩৩.০৬
স্নেহ০.৫
প্রোটিন৬.৩৬
ভিটামিন৩৪.০৪
খনিজ১.১৬
অন্যান্য১৪.২

কাজুবাদাম এর উপকারিতা | কাজু বাদাম কিভাবে খেতে হয়

রসুনের উপকারিতা ও অপকারিতা

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন রোগের প্রাকৃতিক অন্যতম প্রতিষেধক রসুন। রসুনের উপকারিতার কথা বলে শেষ করা যাবে না। তবে রসুনের কিছু অপকারিতা রয়েছে। আমরা রসুনের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব।

রসুন খাওয়ার উপকারিতা

রসুন খাওয়ার উপকারিতা
রসুন খাওয়ার উপকারিতা

রসুন খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বলে শেষ করার মতো নয়। রসুন একে প্রাকৃতিক মহাঔষধ। একটি মানুষ প্রতিদিন নিয়ম মেনে রসুন খেলে তার অনেক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং অনেক রোগ সেরে যায়। নিচের রসুন খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

রসুন খাওয়ার উপকারিতা:—-

রোগ প্রতিরোধে রসুনের ভূমিকাঃ

বলা হয়ে থাকে সকল মহাঔষধ প্রকৃতিতে রয়েছে। অর্থাৎ আল্লাহ তাআলা প্রকৃতিতে যেসকল মানুষের জন্য উপদান রেখেছেন এই সকল উপাদান গুলোতে সকল রোগের ঔষধ রেখেছেন। ঠিক তেমনই এরই অংশ হিসেবে রসুন মহাঔষধ হিসেবে কার্যকর।

নিয়ম করে রসুন খাওয়ার অভ্যাস করলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। যা স্বাভাবিক ভাবেই আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজন। এবং অন্যান্য রোগ থেকে রক্ষ করে। রসুনের এন্টিব্যাক্টেরিয়াল, এন্টিফাংগাল গুন ঔষধের মত কাজ করে। আর এই দুটি জিনিসের গুন ঔষধের মত কার্যকর।

রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধিতে রসুনঃ

প্রতিদিন সকালে এক দুই কোয়া রসুন খাওয়ার অভ্যাসে আপনার আমার শরীরের রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক থাকে। রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে রসুন। রক্তের জীবাণু দূর করে।

উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেঃ

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে উচ্চরক্তচাপ যেন স্বাভাবিক একটা ব্যাধি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই উচ্চরক্তচাপ বা হাই ব্লাডপ্রেসার যেকোন সময় মানুষের খারাপ অবস্থায় ফেলে দিতে পারে। যাদের উচ্চরক্তচাপ বা হাই ব্লাডপ্রেসার আছে তাদের অনেকে সময় ঔষধের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়না। 

এমনকি ডাক্তার দ্বারা সাময়িক ভাবে নিয়ন্ত্রণ থাকলেও সব সময় ঝুঁকিতে থাকতে হয়। তাই যাদের উচ্চরক্তচাপ বা হাই ব্লাডপ্রেসার আছে তারা যদি নিয়ম করে রসুন খায় তাহলে রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখা সম্ভব। এক কথায় উচ্চ রক্তচাপ কমাতে অনেক পথ্যের অন্যতম হল রসুন।

সংক্রমণ প্রতিরোধেঃ

আমরা প্রায় এখতে পাই কিছু ব্যাধি আছে সংক্রমণ রোগ। যেমন অনেক রোগ আছে ছোয়াছে বা বাতাসের মাধ্যমে ছড়ায়। যেমন পেন্ডামিক সময়। যাদের সংক্রমণ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি তাদের এই পেন্ডামিকে তেমন সমস্যা হয়নি। প্রতিদি সকালে খালি পেটে দুই কোয়া করে রসুন খাওয়া অভ্যাসে শরীরে সংক্রমণ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

ফুসফুস সুস্থ্য রাখেঃ

আমাদের শরীরের প্রত্যেকটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গ মুল্যবান। ফুসফুস তার মধ্যে অন্যতম। ফুসফুসের অনেকে রোগ আক্রান্ত করে থাকে। পেন্ডামিক সময়ে ফুসফুসে এই রোগ সাধারনত ফুসফুসে আক্রমণ করে। 

এমনকি হাপানি বা শ্বাসকষ্ট এই ফুসফুসকে কেন্দ্র করে হয়ে থাকে। প্রতিদিন দুই কোয়া করে রসুন খাওয়ার অভ্যাস করলে আমাদের ফুসফুসকে সহজেই সুস্থ্য রাখতে পারি।

বাতের ব্যথা উপশমেঃ

আমরা প্রায়ই শুনে থাকি আমাদের পরিবারের বয়স্কোদের বাত ব্যথা। অনেকে অনেক পুরান বাতের সমস্যা থাকে। বাত ব্যথা হলে আমাদের শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টে জয়েন্টে ব্যথা করে। এই ধরনের বাতের ব্যথা থেকে উপশম করে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে রসুন খেলে।

আর্থ্রাইটিস রোগে কার্যকরঃ

বিভিন্ন বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন রসুন আর্থ্রাইটিস রোগীদের জন্য অত্যান্ত কার্যকর। নিয়মিত রসুন খাওয়ার অভ্যাসে আর্থ্রাইটিস রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। এমনকি ডাক্তারগণ বলে থাকেন রসুন আর্থ্রাইটিস রোগীদের জন্য একটি নিখুঁত ঔষধ।

ত্বক ভাল রাখেঃ

অনেকে চেহারায় অল্প বয়সে বার্ধ্যকের ছাপ চলে আসে। যা আমরা অনেকে পছন্দ করিনা। কারন আমরা সকলেই চাই তারুণ্য ধরে রাখতে। যদি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে দুই কোয়া করে রসুন খাওয়া হয় তাহলে আমাদের শরীরের ত্বক ভাল থাকে। এবং বার্ধ্যকের ছাপ চেহারায় দ্রুত আসতে পারেনা।

আলঝেইমারস ও ডিমেনশিয়া রোগের ঔষধঃ

ব্রেইনের সেল ড্যামেজ কম হয়ে অনেকে সময় আলঝেইমারস ও ডিমেনশিয়ার রোগের থেকে রক্ষা পেতে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে রসুন খাওয়া উচিৎ আমাদের সকলের।

স্ট্রোজেনের মাত্রা স্বাভাবিক রাখেঃ

নারীদের শরীরের স্ট্রোজেন থাকে যা নারীদের বয়সের সাথে ভারসাম্য বজায় থাকে। অনেক নারীদের স্ট্রোজেনের পরিমান কমে যায়। নিয়মিত রসুন খেলে নারীদের শরীরের স্ট্রোজনের পরিমান অনেক খানেক বেড়ে যায়।

হজম শক্তি বৃদ্ধিতে রসুনঃ

আমাদের পরিপাক তন্ত্র অর্থাৎ আমাদের খাবার হজমের প্রক্রিয়া ভাল করে। প্রতিদিন এক কোয়া রসুন খেলে আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়। যা আমাদের পেটের নানান রোগ থেকে রক্ষা করে।

লিভার সুস্থ্যতায় রসুনঃ

প্রতিদিন সকালে রসুন খাওয়ার অন্যতম উপকার হল আমাদের লিভার বা যকৃৎ সুস্থ্য অর্থাৎ রোগ মুক্ত রাখতে সাহায্য করে। যেহেতু লিভার বা যকৃতকে আমাদের শরীরের ছাকুনি বলা হয়ে থাকে।

মুত্রাশয়ের কাজ স্বাভাবিক রাখেঃ

যাদের মুত্রাশয়ের সমস্যা আছে তারা প্রতিদিন নিয়মিত কাঁচা রসুন খেলে মুত্রাশয় ভাল থাকে। আর যারা নিয়মিত রসুন খেয়ে থাকেন তাদের মুত্রাশয়ের কাজ স্বাভাবিক থাকে।

ব্রংকাটিস ও নিউমোনিয়া উপশমেঃ

কাঁচা রসুন খাওয়ার উপকারিতা হিসেবে অন্যতম উপকার হল ব্রংকাইটিস ও নিউমোনিয়া হলে খুব দ্রুত উপশম পাওয়া যায়। তাই নিয়ম করে কাঁচা রসুন খাওয়া উচিৎ।

চুলের জন্য উপকারীঃ

রসুনে প্রচুর পরিমানে জিঙ্ক ও কপার আছে যা আমাদের চুলে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এবং চুলকে শক্ত ও মজবুত করে। চুল হয়ে ওঠে সুন্দর মসৃণ।

রসুন খাওয়ার অপকারিতা কি কি?

  • রসুন খাওয়ায় মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে।
  • অনেক সময় রসুন খাওয়ার জন্য অনেকের ক্ষেত্রে বমি হতে পারে।
  • নারীদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত কাঁচা রসুন খেলে প্রসব যন্ত্রণা বেড়ে যায় তাই গর্ভবতীদের জন্য রসুন খাওয়া উচিৎ নয়।
  • অতিরিক্ত রসুন খেলে রক্তচাপ বা ব্লাড প্রেসার কমে যায় এ অবস্থায় মাথা ঘুরতে পারে এবং অনেক সময় যন্ত্রণা করতে পারে।
  • যাদের এলার্জির সমস্যা আছে তাদের সাবধানে রসুন খাওয়া উচিৎ। কারন রসুন খাওয়ার জন্যেও এলার্জি দেখা দিতে পারে।

রসুন খাওয়ার নিয়ম

রসুন খাওয়ার নিয়ম
রসুন খাওয়ার নিয়ম

বিভিন্ন নিয়মে রসুন খেলে বিভিন্ন রোগের উপকারে আসে। কাঁচা কিংবা সিদ্ধ রসুনের আলাদা আলাদা ঔষধি গুণ আছে। আবার রাতে রসুন খেলে এক ধরনের উপকার হয়, সকালে খালি পেটে খেলে আর এক ধরনের উপকার হয়। 

প্রতিদিন কাঁচা রসুন খেলে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। কেউ যদি একটানা ১২ সপ্তাহ কাঁচা রসুন খান তবে তার ঠান্ডা কাশি এবং ক্লজাতীয় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।

করণাকালীন সময়ে অনেকে সুস্থ থাকার জন্য নিয়মিত রসুন খেয়েছেনয্য।নিচে রসুন খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

মধুর সাথে রসুন খাওয়ার নিয়ম

মধু এবং রসুনের ঔষধি গুণের কথা আমরা অনেকেই জানি। এই দুটি প্রাকৃতিক ঔষধি উপাদান সঠিক নিয়মে খেলে আপনি অনেক সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

মধুর সাথে রসুন খাওয়ার নিয়ম:—

  • এক টেবিল চামচ খাটি মধু নিয়ে তাতে একটি মাঝারি সাইজের রসুনের তিন চারটি কোয়া কুচি কুচি করে ভালো করে মেশাতে হবে। এই মিশ্রণটি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেলে আপনার সারাদিনের ক্লান্তি এটি দূর করতে পারে।
  • দুই থেকে তিনটি রসুনের কোয়া চিবিয়ে তার সাথে সামান্য মধু নিয়ে খেলে আপনার শরীরের বিভিন্ন গোপন রোগ ভালো হতে পারে।
  • মধু এবং রসুন একসাথে খেলে আপনার হজম শক্তি অনেকখানি বেড়ে যাবে।

খালি পেটে রসুন খাওয়ার নিয়ম

রসুনের ঔষধি গুণ সম্পর্কে আমরা আগেই অনেক ধারণা পেয়েছি। তবে খালি পেটে রসুন খাওয়ার উপকারিতা সবচাইতে বেশি। কিছু নিয়ম মেনে খালি পেটে রসুন খেতে হবে।

সকালে নাস্তার আগে খালি পেটে রসুন খেলে মূলত রসুনের কার্যক্ষমতা বেশি বেড়ে যায়। খালি পেটে রসুন খেলে এটি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিক পরিণত হয়।

এছাড়া বিভিন্ন গবেষকদের মতে স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে খালি পেটে রসুন খাওয়া অত্যন্ত কার্যকরী। তাছাড়া এটি হজম শক্তি বাড়াতে এবং পেটের বিভিন্ন গন্ডগোল কমাতে সাহায্য করে।

প্রতিদিন সকালে দুই থেকে তিন কোয়া রসুন চিবিয়ে খেলে আপনি এসব উপকার পেতে পারেন।

কাঁচা রসুন খাওয়ার নিয়ম

কাঁচা রসুনের উপকারিতা সবচাইতে বেশি। কিছু নিয়ম মেনে কাঁচা রসুন খেলে আপনি সবচাইতে বেশি উপকৃত হবেন।

কাঁচা রসুন খাওয়ার নিয়ম:—

  • খালি পেটে কাঁচা রসুন খাওয়ার উপকারিতা সবচাইতে বেশি। প্রতিদিন সকালে দুই থেকে তিন কোয়া কাঁচা রসুন কুচি করে কিংবা চিবিয়ে খেলে অনেক উপকারে আসে।
  • কাঁচা রসুনের সাথে মধু মিশিয়ে খেলে এটি আপনার শরীর ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
  • কাঁচা রসুন দিয়ে টনিক বানিয়েও খেতে পারেন।
  • কাঁচা রসুন, মধু এবং কালোজিরা একসাথে খেলে সবচাইতে বেশি উপকার পেতে পারে।

কাঁচা রসুন চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা

কাঁচা রসুন চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা
কাঁচা রসুন চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা

কাঁচা রসুন চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা অনেক । রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধিতে, ডায়রিয়ার সমস্যা সমাধানে, মানসিক চাপ কমাতে, লিভারের সমস্যা কমাতে, শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে প্রতিদিন সকালে দুই কোয়া কাঁচা রসুন চিবিয়ে খেতে পারেন।

রসুন সম্পর্কে কিছু প্রশ্নের উত্তর:

পান রসুন খেলে কি হয়

পান এবং রসুন একসাথে চিবিয়ে খেলে পুরুষের শুক্রানুর পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। এছাড়া পুরুষের গোপন শক্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।

ভরা পেটে রসুন খেলে কি হয়

অনেকে খালি পেটে রসুন খেতে পারেন না এবং অনেকের খালি পেটে রসুন খেলে এলার্জির সমস্যা বৃদ্ধি পায়। যাদের এরকম সমস্যা তারা ভরা পেটে রসুন খেতে পারেন। তবে খালি পেটে রসুন খাওয়ার উপকারিতা সবচাইতে বেশি।

খালি পেটে রসুন খেলে কি হয়

খালি পেটে কাঁচা রসুন খাওয়ার উপকারিতা সবচাইতে বেশি। এটি রক্তচাপ কমাতে, রক্তে থাকা ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমাতে, স্ট্রোক কিংবা হার্ট এটাকের ঝুঁকি কমাতে খালি পেটে রসুন খাওয়া অনেক উপকারী।

শেষ কথাঃ

রসুন প্রকৃতির অন্যতম মহা ঔষধ। রসুন আমাদের সমাজে বা পরিবারে মসলা হিসেবে ব্যবহার হলেও কাঁচা রসুন নিয়ম করে খাওয়ার অভ্যাস করলে অনেকে রোগব্যাধি থেকে আমরা রক্ষা পেতে পারি। তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন অতিরিক্ত রসুন খাওয়ায় আমাদের শরীরে কোন সমস্যা না দেখা দেয়।

1 thought on “রসুনের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং রসুন খাওয়ার নিয়ম”

Leave a Comment